ডোমেইন এর বয়স – কোন ক্ষেত্রে গুরুত্ব বহন করে এবং কোন ক্ষেত্রে করে না?
কম্পিটিশন অ্যাানালাইসিস করতে গিয়ে বা এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনতে গিয়ে ডোমেইন এর বয়স এর বিষয়টা সবসময়েই মাথায় থাকে আমাদের। ডোমেইন এর বয়স গুরুত্বপূর্ণ, তবে সেটা সবক্ষেত্রেই সমান গুরুত্ব বহন করবে বা কিছু ক্ষেত্রে আদৌ গুরুত্ব বহন করবে কিনা সেটা আলোচনা সাপেক্ষ।
এই বিষয়ে আপনাদের কোন দ্বিধা থেকে থাকলে, আর্টিকেলটি সেই দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে আপনাকে মুক্তি দিবে। একই সাথে সঠিক ও যৌক্তিক ধারণা দিবে।
তবে আর্টিকেল এর মূল অংশে যাওয়ার আগে কিভাবে ডোমেইন এইজ নির্ধারণ করবেন সেটা বলে দেয়া জরুরী। এসইও কোয়্যাক এড অংস ব্যবহার করে থাকলে দেখবেন গুগলে সার্চ করলে সেটা আপনাকে ডোমেইন এর বয়স দেখায়।
সেই বয়স গ্রহণযোগ্য না।
কারণ, সেই বয়স নির্ধারণ হয় ওয়েবসাইট টি কবে ওয়েব আর্কাইভ কর্তৃক প্রথম ইনডেক্স হয়েছিল, তার উপর। এক্ষেত্রে এমন হতেই পারে যে ডোমেইন চালু হয়েছে আজকে। কিন্তু সেটা ওয়েব আর্কাইভ প্রথম খুঁজে পেয়েছে দুই বছর পর (আমি এমন কেইস দেখেছি)।
তাই এটাকে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম বলা যাবেনা।
হুইজ ডাটা চেক করে ওয়েবসাইট এর নাম কবে প্রথম নিবন্ধিত হয়েছিল সেটার উপর ভিত্তি করে ডোমেইন এর বয়স নির্ধারিত হবে।
ডোমেইন যদি লাইভ থাকে
ধরুন, কম্পিটিশন অ্যানালাইসিস করতে গিয়ে আপনি কোন ডোমেইন পেলেন "ক"। সেই ডোমেইনের বয়স ৫ বছর, ডোমেইন ৫ বছরই লাইভ ছিল। অর্থাৎ সাইট শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত লাইভ আছে এবং এটা কোন এক্সপায়ার্ড ডোমেইন এর উপর তৈরি না। তাহলে অবশ্যই এই সাইটের ক্ষেত্রে বয়স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিভিন্ন কিওয়ার্ডের জন্যে সার্চ ইঞ্জিনে যারা ভালো করছে এদের কাউকেই দেখবেন না ১ মাস বা দুই মাস বয়সের। অন্তত ৬ মাস থেকে কয়েক বছর, ক্ষেত্রবিশেষে অনেক বছরও দেখবেন। যতো বেশি বছর ততো বেশি ভালো এবং প্রায়োরিটি পাওয়া ভালো সাইট।
"ক" সাইট ৫ বছর সাইট গুগলের বিভিন্ন আপডেট এর পরে টিকে আছে মানেই সাইটের সার্বিক অবস্থা ভালো। তাই এই সাইট যে ধরণের কিওয়ার্ড টার্গেট করবে তার জন্যে প্রাধান্য পাবে। তবে এর মানে এই না একে আউটর্যাংক করা যাবে না।
অবশ্যই যাবে।
তবে এর গুরুত্ব গুগলের কাছে বেশি থাকায় কঠিন হবে।
আপনার যদি কোনো সাইট থাকে, যেটার ১ বছর, ২ বছর বয়স হয়েছে এবং পেনালাইজড না; সেই সাইটে আপনি ভালো কোন কন্টেন্ট দিন কিওয়ার্ড টার্গেট করে এবং লিংক বিল্ড করুন। দেখবেন, এটা যতো দ্রুত র্যাংক করবে ততো দ্রুত আপনার নতুন কোন সাইট র্যাংক করবেনা।
অর্থাৎ একটা ডোমেইন দীর্ঘ সময় লাইভ থাকলে অবশ্যই সেটা গুগলে ভালো প্রাধান্য পাবে। তাই এক্ষেত্রে ডোমেইন এর বয়স গুরুত্বপূর্ণ।
ডোমেইন যদি এক্সপায়ার্ড হয়
এই জায়গায় এসে পুরো সিনারিও পরিবর্তন হয়ে যায়। অনেকেই এক্সপায়ার্ড ডোমেইন নিয়ে কাজ করতে চায়, সেক্ষেত্রে ডোমেইন এর এইজ কে অনেকেই গুরুত্ব দেয়। একটা ডোমেইন এর বয়স যদি হয় ১২ বছর, সেটার গুরুত্ব বেশি বলেই মনে করেন অনেকে।
এটা ভুল।
কেন ভুল? কারণ হচ্ছে একটা ডোমেইন ১২ বছর আগে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল। সেটা ২ বছর চালু ছিল। এরপর বন্ধ। বাকি সময় তো সাইট চালুই ছিল না, ডেড ছিল। তাহলে কেন এর জন্যে আপনি পুরো সময়ের ভ্যালু পাবেন?
এক্ষেত্রে যদি সাইটে কোন ব্যাকলিংক করা থাকে এবং সেটা ভালো হয়, তাহলে সেই ডোমেইন কিনলে এই ব্যাকলিংক এর ভ্যালুই পাবেন। ডোমেইন এর বয়স এর কোন ভ্যালু আপনি পাবেন না।
অর্থাৎ আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, সেটা হলো - আপনি এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনলে সেটার ব্যাকলিংক এর ভ্যালুই পাবেন। বয়সের কোন ভ্যালু পাবেন না। তাই ডোমেইন কতো বছর আগে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল সেটার কোনো এসইও ভ্যালু নেই।
তাই শুধু ডোমেইন এর আগের রেজিস্ট্রেশন ডেট দেখে ডোমেইন কিনে নিবেন না।
অনেক আগে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল কিন্তু কোনো ভালো লিংক নেই, এমন ডোমেইন এর চাইতে ৬ মাস যাবত লাইভ আছে কিন্তু কোন লিংক নেই এমন সাইট হাজার গুণে ভালো এবং গুরুত্ববাহী।
এক্সপায়ার্ড ডোমেইন নিয়ে আর্টিকেল দেয়ার পরে পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই যোগাযোগ করেছেন, জানিয়েছেন কাজ করতে চান। আমি বেশিরভাগ মানুষের এক্সপায়ার্ড ডোমেইন সিলেকশনে ভুল পেয়েছি এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করে ভালো কিছু করা সম্ভব না।
অনেকেই শুধু বয়স এর দিকটাকে প্রেফার করে নির্বাচন করেছেন। তাদের থেকেই এই বিষয়ে লিখার আগ্রহ আসলো।
আমি যে কাউকে সাজেশন নিবো এক্সপায়ার্ড ডোমেইন না কিনে ফ্রেশ ডোমেইন নিয়ে কাজ করার জন্যে। অনেক ঝানু চোখের অনেক সময় ভুল হয়ে যায়, নতুনদের তো হতেই পারে।
আমি একটা সাইটে ২৮০০ ডলার এর মতো ইনভেস্ট করেছিলাম। ডোমেইনটা এক্সপায়ার্ড ছিল, সামান্য কিছু ব্যাকলিংক ছিল।
অনেক কিছু করে সাইট কে র্যাংক করাতে পারছিলাম না। সার্চ কনসোলে এড করলাম, কিছুদিন পরেই দেখলাম ম্যানুয়াল পেনাল্টি। অর্থাৎ ডোমেইন টি আগে থেকেই ম্যানুয়াল পেনাল্টি পেয়েছিল। ভালো করে চেক করে দেখলাম কোন একসময় সাইট গারবেজ টাইপের স্পিনিং করা আর্টিকেল দিয়েছিল কিছু সময়ের জন্যে।
আমি আবেদন করলাম, গুগল আবার চেক করে পেনাল্টি উঠিয়ে দিল। অনেক কিওয়ার্ড টুকটাক র্যাংক করলেও যে পরিমাণ কাজ করেছি সে অনুযায়ী আউটপুট পাইনি।
পরবর্তীতে অবশ্য সেই সাইট কে অন্য একটা ফ্রেশ ডোমেইনে এনে কাজ করে ভালো সফলতা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ্।
সাইট টা সেল করে দিলে কয়েক মাস পর সেটার রিভিউ দিবো। ডোমেইনের এইজ টেইজ বাদ দিন, ফ্রেশ ডোমেইন নিয়ে কাজ করুন, নিজের কষ্টের টাকা বাঁচান। একটু ভুল বিশাল এমাউণ্টের ধরা হতে পারে আপনার জন্যে।