প্রয়োজনীয় ৫ টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস !
বাংলাদেশের স্মার্টফোন মার্কেট দিনকে দিন বৃহৎ থেকে বৃহত্তর হতে চলেছে। আর ক্রমশ বর্ধমান এই স্মার্টফোন মার্কেটের সিংহভাগ দখল করে আছে অ্যান্ড্রয়েড। ব্যবহারকারিকে সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ার জন্যে আপ স্টোরে রয়েছে হরেক রকম অ্যাপস। হাজার হাজার অ্যাপের ভেতর থেকে আপনার কাজে আসতে পারে এমন পাঁচটি অ্যাপ নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের পোস্ট।
১. বাংলা ডিকশনারি
প্রতিদিনই আমরা অনেক নিত্যনতুন শব্দের সাথে পরিচয় হচ্ছি। যার অনেকগুলোর মানে হয়তো জানি, হয়তো জানিনা। হোক সেটা বাংলা কিংবা ইংরেজি, সবরকম শব্দের অর্থ খোঁজার জন্যে বাপ্পির তৈরি অফলাইন বাংলা ডিকশনারি টি এক কথায় অসাধারণ।
ইংরেজি থেকে বাংলা মানে যেমন খোঁজা যাবে ঠিক একইভাবে খোঁজা যাবে বাংলা থেকে ইংরেজি শব্দার্থও। পাশাপাশি কোন শব্দের উচ্চারণ না জানলে জেনে নেওয়া যাবে সেটার উচ্চারণও। সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ পাওয়ার পাশাপাশি রয়েছে ওয়ার্ড গেইমও। আর নতুন শব্দ শেখার জন্যে ওয়ার্ড গেইমটির পাশাপাশি স্টাডি প্ল্যান অপশনটিও বেশ কাজের।
আর এতো সব কিছু পাওয়া যাবে কোন ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করা ছাড়াই !
অ্যাপটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
* একই ডেভেলপারের বাংলা থেকে বাংলা ডিকশনারিও রয়েছে
২.রিদ্মিক কিবোর্ড
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বাংলা লেখার জন্যে বেশ কয়েকটি সফটওয়্যার থাকলেও আমরা বেছে নিয়েছি রিদ্মিক কিবোর্ড কে। যারা ইতোমধ্যেই অভ্রতে বাংলা টাইপ করে অভ্যস্ত তাদের জন্যে রিদ্মিক অভ্রের মতোই মনে হবে। অভ্র লে–আউট ছাড়াও কেউ যদি বিজয় লে–আউটে টাইপ করে অভ্যস্ত হয় তাহলে তার জন্যে রয়েছে ইউনিজয়। এছাড়া জাতীয় লে–আউটও রয়েছে। সরাসরি কিবোর্ড থেকেই পছন্দমতো লে–আউট বেছে নেয়া যাবে।
এছাড়া বিল্ট–ইন ভাবেই এই কিবোর্ডের সাথে ৭টি থিম জুড়ে দেয়া হয়েছে, যেখান থেকে আপনার পছন্দেরটি বাছাই করে ব্যবহার করতে পারবেন। দ্রুত টাইপ করার জন্যে অটো সাজেশনের ব্যবস্থা রয়েছে, পাশাপাশি এই কিবোর্ড আপনার বানান শিখে নিতে সক্ষম। যার ফলে একই শব্দ বার বার টাইপ করার ক্ষেত্রে অটো সাজেশন পেয়ে যাবেন আপনার বানানের। রিদ্মিক কিবোর্ডের ভালো অল্টারনেট হতে পারে মায়াবী কিবোর্ড, তবে আমি পার্সোনালি রিদ্মিক কিবোর্ডই পছন্দ করি।
অ্যাপটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
৩. গুগল কিপ
যে কোন রকম পার্সোনাল নোট বা চেক লিস্ট বানানোর জন্যে আমি গুগল কিপ কেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। সাদামাটা অথচ অসাধারণ ইউজার ইন্টারফেস আর কার্যকারিতা আমার বেশ ভালো লাগে। টেক্সট নোট করার পাশাপাশি ভয়েস নোট করতে চাইলে সেটাও সম্ভব গুগল কিপ এর মাধ্যমে। নোট নির্দিষ্ট সময়ে মনে করার জন্যে অ্যালার্ম সুবিধাও রয়েছে এতে।
প্রতিটা নোট এ আলাদা করে কালার দেয়ার ফিচারটা আমার ভালো লাগে। আমি প্রায়োরিটি অনুযায়ী আমার নোটের কালার দেই, যাতে করে কোন কাজটা আগে করতে হবে আর কোনটা পড়ে করলেও চলবে সেটা বুঝতে পারি। মোবাইল, ট্যাবলেট, কম্পিউটার সবখানেই এক্সেস পাওয়া যাওয়ার কারণে এটা ব্যবহার করা আরও সুবিধাজনক।
আরও বিস্তারিত জানতে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন –
অ্যাপটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
৪. ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার
অ্যান্ড্রয়েডে ভিডিও ফাইল দেখার জন্যে বেশিরভাগ মানুষই এমএক্স প্লেয়ার ব্যবহার করে। তবে এমএক্স প্লেয়ার আর এর গাদা গাদা কোডেকগুলো যে পরিমাণ জায়গা দখল করে তাতে এমনিতেই কেল্লা ফতে হয়ে যায়। এতোসব ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে কম্পিউটারে ভিডিও ফাইল দেখার ভরসার সফটওয়্যার ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার রয়েছে অ্যাণ্ড্রেয়েডেও। যেটি ব্যবহার করে প্রায় সবরকম ভিডিও ফাইল প্লে করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে। প্রয়োজন হবেনা অতিরিক্ত কোন কোডেক এরও। যারা এমএক্স প্লেয়ার ব্যবহার করছেন তারা নির্দ্বিধায় সেটই ফেলে দিয়ে ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহার করতে পারেন
অ্যাপটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
৫. স্পেন্ডি
প্রতিদিন আপনি কত টাকা খরচ করছেন, কত টাকা পাচ্ছেন সেটার সঠিক হিসাব রাখার জন্যে স্পেন্ডি হতে পারে অসাধারণ একটি অ্যাপ। ভালো ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দেয়ার জন্যে ফিচারের পাশাপাশি জোড় দেয়া হয়েছে এর ডিজাইনেও। খাওয়া–দাওয়া, যাতায়াত, শপিংসহ আরও যে যে খাতে টাকা খরচ করছেন সেগুলো সেই খাতের ক্যাটাগরিতে সেইভ করে রাখতে পারবেন। ফলে খুব সহজেই মাসশেষে জেনে নিতে পারবেন কোন খাটে কত খরচ হয়েছে আপনার।
আপনার খরচের হিসাবকে শুধু আপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পাসওয়ার্ড প্রোটেকশন দেয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে এতে। তাছাড়া কোনদিনের খরচ কতো বা কোন মাসের খরচ কতো এগুলো গ্রাফিকালভাবে দেখানোর জন্যে গ্রাফও দেয়া হয়েছে।